রংপুরে “বৃহত্তর রংপুরের উন্নয়নে কৃষি” শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব এপ্লাইড সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি এর ক্যাম্পাসে বৃহস্পতিবার ( ১৪ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে কৃষি প্রধান অঞ্চল বৃহত্তর রংপুরে কৃষিতে অবদান, বিদ্যমান সমস্যা এবং সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়।
কৃষির উৎপাদনের সিংহভাগ হয়ে থাকে উত্তরাঞ্চলে । আবার এই সিংহভাগের অধিকাংশের যোগান দিয়ে থাকে বৃহত্তর রংপুরের জেলাগুলো। তাই এই অঞ্চলকে কৃষি অঞ্চল ঘোষনা করা এখন সময়ের দাবি। সরকার এই অঞ্চলের কৃষির গুরুত্ব বিবেচনা করে ইতোমধ্যেই কুড়িগ্রামে একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য অধ্যাপক এ কে এম জাকির হোসেন। তিনি বলেন, কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও মাঠ পর্যায়ের গবেষণা ও সম্প্রসারন প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যো সমন্বয় করে কিভাবে বৃহত্তর রংপুরের কৃষিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনা যায় সেজন্য সকলকে সাথে নিয়ে আমরা কাজ করব।
প্রধান পৃষ্ঠপোষকতায় ছিলেন রংপুরের প্রবীণ কৃষিবিদ এবং বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদ রংপুর শাখার সভাপতি আলী আজম। তিনি বলেন, ক্রপ জোনিং অর্থাৎ কোন এলাকায় কোন ফসল হয় তার একটি ম্যাপ করা এবং ফসলের রেজিস্ট্রেশন করা দরকার। এছাড়া তিনি সমবায়ের মাধ্যমে কৃষি ও কৃষকের উন্নয়ের উপর জোড় দেন।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন আইআইএএসটি’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোঃ সহিদুজ্জামান। ড. সহিদুজ্জামান বলেন, এই অঞ্চলে ব্যপক উৎপাদিত কৃষিজাত পণ্য সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং বাজারজাতকরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি হয়ে পড়েছে। এর মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. মোঃ আজহারুল ইসলাম।
সেমিনারে বৃহত্তর রংপুরের সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কৃষিবিদগণ উপস্থিতি ছিলেন।
বক্তারা বলেন, সরকারের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এবং বৈষিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আধুনিক কৃষির কোন বিকল্প নেই। কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহার, জলবায়ু উপযোগী জাত উদ্ভাবন এবং বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনা টেকসই কৃষিতে অনন্য অবদান রাখবে।